শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

বর্ষা মৌসুমে বেড়ায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা 

পাবনা প্রতিনিধি 

বর্ষা মৌসুমে বেড়ায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা 

পাবনার বেড়া উপজেলার বুকের উপর দিয়ে বয়ে গেছে বেশ কয়েকটি ছোট বড় নদী। আর এই নদ নদী জলাশয়গুলো বর্ষার পানিতে তলিয়ে যায়। বছর ঘুরে চলে এসেছে বর্ষা। নদী, খাল, বিলে যেদিকে চোখ পড়ে সে দিকেই পানি। তাই উপজেলার কয়েকটি এলাকায় চলছে নৌকা তৈরির হিড়িক। চলছে পুরনো নৌকা মেরামতের কাজও। 

বর্ষা মৌসুম সামনে রেখে বেড়া উপজেলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নৌকার কারিগররা। দিনরাত হাতুড়ি-বাটালের ঠুকঠুকানিতে মুখর নৌকার তৈরির হাট-বাজারগুলো। এক সময় নৌকা ছিল যোগাযোগের অন্যতম বাহন। বর্তমানে শুধু বর্ষাকালে নিম্নাঞ্চল ও বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের পারাপারে নৌকা ব্যবহার হয। 

জানা গেছে , বর্ষাকালে চরাঞ্চলের জনপদ পানিতে থৈ থৈ করে। ডুবে যায় রাস্তাঘাট, নদী নালা, খাল-বিল। যাতায়াত করতে হয় নৌকায়। বর্ষাকালে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরার কাজে ব্যবহার করেন ছোট বড় নৌকা। তাই বর্ষা মৌসুম আসলেই এ অঞ্চলে বেড়ে যায় নৌকার কদর। 

নৌকার কারিগর কাঠমিস্ত্রি কাঙ্গাল সূত্রধর (৬৫) বলেন , আমি প্রায় ৪০ বছর কাঠমিস্ত্রির কাজ করি। নৌকাসহ মানুষের ঘরবাড়ি তৈরি করি। বিক্রির উদ্দেশ্যে কমদামি খাট, চৌকি, দরজা, জানালা তৈরি করি। আর বর্ষা এলে নৌকা বানাই। এ সময় আমরা কারিগররা দম ফেলানোর সময় পাই না। দীর্ঘ ৩৫ বছর যাবত কাঠমিস্ত্রির কাজ করি। 

এ কাজ করে ছেলে মেয়েদের পড়া লেখা করাই নিজেরা খেয়ে বেঁচে আছি। বর্ষাকালে নৌকা আর বছরের বাকি সময়টা চেয়ার-টেবিল , দরজা-জানালা, তৈরি করে সংসার চলে। বর্ষায় এ পাড়া থেকে ও পাড়া যাতায়াতের জন্য ছোট ছোট নৌকার প্রয়োজন হয়। তাই বড় নৌকা তেমন তৈরি হয় না- ছাট নৌকার কদর বেশি। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমে নৌকা তৈরির কাজ করেই তাদের সংসার চলে। 

একটি নৌকা তৈরিতে তিনজনের ২-৩ দিন সময় লাগে। তারা আরো বলেন, নৌকা যত বড় খরচ তত বেশি। আর একজন মিস্ত্রি প্রতিদিন পাই ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। যার যেমন দরকার তেমন তৈরি করা হয়। 

টিএইচ